স্পোর্টস ডেস্ক : আকবর আলী ও তার দলের যুব বিশ্বকাপ জয়ের সাফল্যের মানদন্ড যথার্থভাবে অনূর্ধ্ব-১৯ নতুন দলকে এ বছর কঠোর ভাবে অনুসরণ করাতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)। অনূর্ধ্ব-১৯ আগের দলটির সফলতার সবচেয়ে বড় নিয়ামক ছিল বিপুল পরিমাণ ম্যাচ খেলানো। বিষয়টি বিভিন্ন সময়ই উল্লেখ করেছেন আকবর আলী ও তার দলের সদস্যরা। এই করোনা মহামারিতেও ইয়ং টাইগারদের জন্য পরিকল্পনার ছক কষেছে বোর্ড। তারা এটি নিশ্চিত করেছে যে যত বেশি সম্ভব ম্যাচের ব্যবস্থা করতে হবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিতব্য ২০২২ যুব বিশ্বকাপের ট্রফি অক্ষুণ্ন রাখার মিশনে নামবে দলটি।
ন্যাশনাল গেম ডেভলপমেন্ট ম্যানেজার এইএম কাওসার বলেন, ‘আগের দলটির সাফল্যের নেপথ্যে ছিল প্রচুর পরিমাণে ম্যাচ খেলানো। বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যে আমরা আগের দলটির জন্য দুই বছরের কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করেছিলাম। আর এর ফলাফল আপনারা নিজ চোখে দেখতে পেলেন।’গত বিশ্বকাপে সবাইকে বিষ্মিত করেছে আকবর আলী এন্ড কম্পানি। শক্তিশালী ভারতকে তিন উইকেটে হারিয়ে তারা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ এনে দেয়। সামনে থেকেই ফাইনালে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন আকবর আলী। করেছেন অপরাজিত ৪৩ রান। অসাধারণ এই সফলতার নেপথ্যে ছিল বিশ্বকাপের আগে বেশ কিছুু ম্যাচে অংশগ্রহণ। প্রস্তুতির জন্য দলটি সর্বমোট ৩৬টি ম্যাচে অংশ নিয়েছিল। যে কারণে উদীয়মান দলটিকে তাদের পূর্বসূরীদের পথে এগিয়ে নিতে চায় বিসিবি।
কোভিড-১৯ এর মহামারীতে ইতোমধ্যে কয়েকটি মাস তাদের নষ্ট হয়েছে। ওই ঘাটতিগুলো এখন পুষিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছে বিসিবি। কাওসার বলেন, ‘নতুন এই দলের জন্য আমরা অন্তত ৩০টি ওয়ানডে ম্যাচের ব্যবস্থা করতে চাই। এবং ৫-৬টি চার দিনের ম্যাচ। সুযোগ হলে এর বেশি ম্যাচে খেলতে চাই আমরা। মহামারীর কারণে ইতোমধ্যে আমরা বেশ কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ হারিয়েছি। অবশ্যই স্বাস্থ্যগত ও অন্যান্য বিষয়গুলোর প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রাখা হবে। আমরা ক্রিকেটারদের কোনোরকম ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না।’